তৈরি পোশাকের নতুন বাজার অর্থনীতির জন্য শুভসূচক




 
বাংলাদেশ গত অর্থবছরের (২০১০-১১) ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রফতানির মাধ্যমে ১,০২৬ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় হয়েছিল প্রায় ৭২৮ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি ৪১ শতাংশ। গত বছর বিশ্বের মাত্র ১২টি দেশ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি এবং বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। গত বছর বিশ্ব রফতানিতে ১২ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ ৪১ শতাংশ ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বরাবরের মতো গত ছয় মাসেও রফতানি আয়ের সিংহভাগ এসেছে তৈরি পোশাক খাত তথা নিট ও ওভেন পোশাক রফতানি থেকে। বিশ্বব্যাপী যখন অর্থনৈতিক মন্দার লো হাওয়া বইছে, বিশ্ব প্রবৃদ্ধি যখন নিম্নমুখী, বিশ্বের আমদানি-রফতানির পরিমাণ যখন কমছে, খাদ্যপণ্য, জ্বালানি তেলসহ জিনিসপত্রের দাম যখন বাড়ছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ায় অনেক স্বল্পোন্নত দেশ যখন চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য আমদানির সাহস করছে না তখন বাংলাদেশ স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। একটা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য এ এক বিরল অর্জন। এর ফলে চলতি অর্থবছর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ হবে বলে অর্থনৈতিক বিশেস্নষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিও বেশ স্থিতিশীল। বিশ্বে একমাত্র চীন ও ভারতই এর চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০১০ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ১০.৩ শতাংশ এবং ভারতের প্রবৃদ্ধি ৯.৪ শতাংশ। তারপরও চীন ও ভারতের রফতানি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির
যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে। মাত্র সাত হাজার মার্কিন ডলার রফতানি হয়েছিল সে বছর। সাহসী উদ্যোক্তা এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পরবর্তী দেড় দশকে খাতটির তেমন অগ্রগতি হয়নি। ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে আয় হয়েছে মাত্র ৬২ কোটি ডলার। ইতোমধ্যে প্রথম প্রজন্মের একদল নবীন উদ্যোক্তা এ খাতে বিনিয়োগ শুরু করে। ফলে পরবর্তী পাঁচ বছরে রফতানি আয় কয়েক গুণ বাড়ে। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানি আয় ২২৩ কোটিতে উন্নীত হয়। তারপর থেকে এ খাতকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যদিও ১৯৯৩-৯৫ সময়ে জিএসপি জালিয়াতির কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ১৯৯৬'র সরকার এর শান্তিপূর্ণ সমাধান করে। তারপর থেকে প্রতি বছর ২০ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে তৈরি পোশাক রফতানি। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয় হয়েছে ১,২৫০ কোটি ডলার। চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে তৈরি পোশাক খাতে আয় হয়েছে ৭৯৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৫৫৯ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪২.২ শতাংশ। আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ১৯৯০' দশক পর্যন্ত গার্মেন্টস খাতের আয়ের সিংহভাগ আসতো ওভেন পোষাক তথা শার্ট, ট্রাউজার, সু্যয়েটার প্রভৃতি থেকে। ১৮৯৭-৯৮ অর্থবছর থেকে নিট পোশাক তথা টি-শার্ট, আন্ডারগার্মেন্টস প্রভৃতি থেকে আয় বাড়তে থাকে। এক সময় এ আয় ওভেন পোশাকের আয়কে ছাড়িয়ে যায়। গত অর্থবছরে নিট পোশাক থেকে আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি ডলারের বেশি। আর ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ৩৬৪ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে নিট পোশাক থেকে এসেছে ৪৩১ কোটি ডলার। আর ওভেন পোশাক থেকে এসেছে প্রায় ৩৬৪ কোটি ডলার। নিট পোশাক তৈরিতে দেশীয় মূল্য সংযোজনের হার ওভেনের তুলনায় বেশি। তাই নিট পোশাক রফতানি বৃদ্ধি মানে দেশের অর্থনীতির জন্য আরো শুভসূচক।

১৯৯০
' দশকে রফতানির বিপরীতে সরকারের ক্যাশ ইনসেনটিভ প্রদান এবং পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন নীতি ও আর্থিক প্রণোদনা, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সাহসী উদ্যোগ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডবিস্নউটিও), ইইউসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের রফতানির পক্ষে নীতি প্রণয়নে সরকারের সফল দরকষাকষি সবকিছুই বাংলাদেশের পক্ষে গেছে। ২০০৫ সাল থেকে ইইউতে জিএসপি প্রথা চলে যাবে, বাংলাদেশ কম শুল্কে রফতানির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে, এতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি কমে যাবে এমন আশঙ্কাও পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ২০০৮ সালে মন্দা দেখা দেয়ার পর তৈরি পোশাক রফতানি কমে যাবে এমনটাও অনেকে আশঙ্কা করেছিল। অবশ্য এ আশঙ্কা অমূলক ছিল না। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির প্রায় ৯৪ শতাংশ হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। আর মন্দার প্রভাবও এ সব দেশেই বেশি। বাস্তবে বিপরীত ফলই এসেছে। দেশের প্রায় পাঁচ হাজার গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক যাদের প্রায় ৯০ শতাংশই নারী তাদের জন্য এটি একটি বড় পাওয়া। এটি সরকারের জন্য স্বস্তির। আর পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের জন্য হাঁফ ছেড়ে বাঁচার মতো অবস্থা। বাংলাদেশের পোশাক এখন বিশ্ববাজারে সমাদৃত। ইইউতে কোনো কোনো ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে প্রথম বা দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। ডবিস্নউটিও'র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের দুই নম্বর গার্মেন্টস রফতানিকারক দেশ। চীনের সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য অনেক বেশি হলেও শ্রমের মজুরিসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক তুলনামূলকভাবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে চীনের চেয়ে ভাল অবস্থায় আছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউভুক্ত দেশগুলো
বাংলাদেশের প্রধান রফতানি বাজার। এ সব দেশে ২০০৮ সাল থেকে মন্দা অব্যাহত থাকায় সহজেই ধরে নেয়া হয়েছিল বাংলাদেশের রফতানি কমবে। মন্দার কারণে সেসব দেশে চাহিদা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের রফতানি কমেনি। ২০০৯ সালে রফতানিসহ বাংলাদেশের রফতানি বাজারগুলোতে দামি পোশাকের চাহিদা কমেছে। তাই চীন, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশের তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে। জনগণের জীবনমান বৃদ্ধির ফলে এ সব দেশে শ্রমের মজুরি বেড়ে গেছে। তাই তারা বেশি মূল্য সংযোজিত পোশাক যেমন জ্যাকেট, বেস্নজার, স্যুট প্রভৃতি উৎপাদনে মন দেয়। শার্ট. টি-শার্ট, ট্রাউজার, আন্ডারগার্মেন্টস ইত্যাদিতে শ্রমিকের মজুরি দিয়ে তেমন লাভ হয় না দেখে গত ৫/৭ বছরে তারা এ সব পোশাক উৎপাদন এক রকম ছেড়েই দিয়েছে। মন্দার কারণে উন্নত দেশের ভোক্তারা এখন দামি পোশাকের পরিবর্তে সস্তা পোশাক কিনছে। তাই বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, লাউস, আফ্রিকার কয়েকটি তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশের এখন পোয়াবারো। বাংলাদেশের গার্মেন্টস উৎপাদন ক্ষেত্রটি বড় বিধায় রফতানি বেশি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর মন্দা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

রফতানি পণ্য
বহুমুখীকরণের পদক্ষেপগুলো থেকে কিছু কিছু ফল আসলেও এখনো বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তারপরও এ খাতের বিশ্ববাজারের মাত্র তিন শতাংশ বাংলাদেশের দখলে। রফতানি বাড়ানোর বহু সুযোগ এখনো আছে। যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সাল থেকে আফ্রিকান গ্রোথ এন্ড অপোরচুনিটি আ্যাক্ট, ২০০০ অনুযায়ী আফ্রিকার প্রায় ৪০টি দেশকে এবং ক্যারিবিয়ান বেসিন ইকোনোমিক রিকোভেরি অ্যাক্ট ১৯৮৩ এর আওতায় প্রায় ২০টি ক্যারিবীয় দেশকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ২০০৬ সালে ক্যারিবীয় দেশগুলো থেকে ২,৫০০ কোটি ডলার এবং আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ৩,৬০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। যার মধ্যে তৈরি পোশাকও আছে। এর ফলে এ দুটি অঞ্চলের অনেক দেশ তৈরি পোশাক রফতানি বাজারে জোরালোভাবে আসতে শুরু করেছে। এ সব দেশ উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের বাজারেও প্রবেশ করছে। বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়নি। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশকে অসম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দিনে দিনে এ প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং তা গোটা অঞ্চলেই বিস্তৃত হবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত রফতানি সুবিধা আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃজনের দুর্বার চেষ্টা চালাতে হবে।

সার্ক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির
আওতায় ভারত বাংলাদেশকে কিছু শর্তসাপেক্ষে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা দেয়ার কথা। বহু আলোচনার পর ভারত ২০০৮ সাল থেকে বছরে ৮০ লাখ পিস তৈরি পোশাক শুল্কমুক্ত আমদানির কোটা বেঁধে দেয়। ভারতের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য বাংলাদেশ ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে পারেনি। ২০০৮ সালে নির্ধারিত কোটার ২৩ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ৩৭ শতাংশ পোশাক রফতানি করতে সমর্থ হয়েছে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ফলে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে বড় বড় সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি কোটা অনুযায়ী তৈরি পোশাক রফতানির জটও খুলেছে। ২০১০ সালের পুরো কোটা অক্টোবর মাসের মধ্যেই রফতানি করা হয়েছে। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কোটা নির্ধারণী আলোচনার সময় ভারত সম্মত হয়েছিল যে, বাংলাদেশ কোটা পূরণ করতে পারলে পর্যায়ক্রমে কোটা বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হবে। এ অঙ্গীকার পূরণের জন্য দ্রুত আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। ভারতে এখন ২,৮০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাকের বাজার আছে এবং প্রতি বছর এ চাহিদা ১৮ শতাংশ করে বাড়ছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের সাথে সাথে তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ানোর পথও সুগম হতে পারে। দেশভিত্তিক রফতানি তথ্য বিশেস্নষণ করলে দেখা যায়, রফতানি বাজার সম্প্রসারণের নতুন ক্ষেত্র হিসেবে কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো, সংযুক্ত আরব আমীরাত, হংকং এবং ল্যাটিন আমেরিকার ব্রাজিল ও চিলিতে উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।

সারণী অনুযায়ী প্রতিটি
দেশেই রফতানি প্রতি বছর বাড়ছে। কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো প্রত্যেকেরই বাজার চাহিদা বেশি এবং প্রতি বছরই তা বাড়ছে। এ সব দেশে ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ প্রচুর রফতানি করছে। আমাদের দরকার এ সব দেশের বাজার চাহিদা অনুধাবন করা। আমদানিকারকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করা। তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সম্পর্ক গড়ে তোলা। তাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা। এ জন্য রফতানিকারকদের তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। এ সব দেশে ঘন ঘন প্রতিনিধিদল পাঠাতে হবে। আলোচনা-দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমদানিকারক তথা ভোক্তার চাহিদাকে মূল্য দিতে হবে। তাদের চাহিদামতো উৎপাদন করতে হবে। তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের বাজার সম্প্রসারণ প্রচেষ্টায় সরকারের উৎসাহ প্রদান প্রক্রিয়া আরো কার্যকর করতে হবে। মিশনগুলোকে আরো বাণিজ্য-বান্ধব করে তুলতে হবে। তবেই তৈরি পোশাক রফতানি বাজার সম্প্রসারণের যে নবদুয়ার উন্মোচিত হয়েছে তা আরো বিস্তৃত ও চওড়া করা সম্ভব হবে। শ্রমঘন এ খাতটির প্রসার টেকসই করার জন্য অগ্র-পশ্চাৎ সংযোগ শিল্পে স্বয়ংস্পূর্ণ হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণসহ একটি জাতীয় পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। মনে রাখতে হবে, তৈরি পোশাক খাতের ওপর ভর করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

রফতানি আয় (কোটি ডলারে)

 
দেশ
২০০৬-০৭
২০০৭-০৮
২০০৮-০৯
২০০৯-১০
কানাডা
৪০.৮৬
৪৬.৭৮
৫৮.৭০
৫৯.৫৫
জাপান
২.০৯
২.৮০
৭.৪৪
১৭.৩৩
অস্ট্রেলিয়া
১.০৪
২.১৯
৪.৯৩
৮.৫৬
মেক্সিকো
৪.৬৭
৬.০৫
৮.১৯
৬.১৪
ব্রাজিল
০.৫০
১.৬৪
৩.৯৬
৪.৫২
আরব আমীরাত
০.৭২
১.৫০
২.৭৬
৩.৪৫
হংকং
১.৪০
১.৯৭
২.৩০
২.৫৭
ভারত
০.২৮
০.৫০
১.০৯
১.২৫

    তথ্যসূত্র :  " দৈনিক ইত্তেফাক " ১২/০২/০১১ ।    http://ittefaq.com.bd/content/2011/02/12/news0920.htm

No comments:

^ Back ToTop